Jatar Deul। জটার দেউল- এক রহস্যময় মন্দিরের কাহিনী | সুন্দরবন | #sundarban #adventure #monuments
Jatar Deul। জটার দেউল। সুন্দরবনের এক ঐতিহাসিক নিদর্শন,রহস্যময় মন্দির? না অন্য কিছু?ভিডিও পুরো দেখুন
#journey #history #historicalplaces #jatardeul #gk #schoolproject viral #knowyourhistory #proud #newyear#tower
জটার দেউল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ডায়মন্ড হারবার মহকুমার মথুরাপুর ২নং সমষ্টি উন্নয়ণ ব্লকের ছোট শহর রায়দিঘির পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে কঙ্কনদিঘির নিকটে অবস্থিত। কলকাতা মহানগর হতে জাতীয় ও রাজ্য সড়ক পথে আনুমানিক দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। আশেপাশের গ্রামের অবস্থান এবং মানুষজনের পরিচয়ে এটি একটি আঞ্চলিক তীর্থস্থান কিনা তা' স্পষ্ট নয়। [২]
দ্রষ্টব্য: মানচিত্রটি মহকুমার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্থান উপস্থাপন করে। মানচিত্রে চিহ্নিত সমস্ত স্থান বৃহত্তর পূর্ণ পর্দার মানচিত্রে সংযুক্ত।
প্রাচীন এই সৌধটি ১৮৬০-এর দশকে তৎকালীন মথুরাপুর থানার অন্তর্গত লট নং ১১৬ -এ গভীর জঙ্গল পরিস্কারের সময় আদিগঙ্গার খাত থেকে আবিষ্কৃত হয়। তবে সৌধটি ঠিক কবে, কখন, কিভাবে তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের মধ্যে। সৌধটির নিকটে প্রাপ্ত এক তাম্রশাসন থেকে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ডায়মন্ডহারবারের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছিলেন যে, এটি ৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ( বা ৮৯৭ শকাব্দে) বিক্রমপুরের চন্দ্র বংশের তৎকালীন রাজা জয়চন্দ্রের সময় তৈরি করা হয়। [২] আবার বীরভূম জেলার কেন্দুলির পাশে অজয় নদীর দক্ষিণে প্রাচীন পাল বংশের শাসক দেবপালের আমলে তৈরি ইছাই ঘোষের দেউলের সাথে জটার দেউলের সাদৃশ্য লক্ষ্য করে অনুমান করা হয় যে, এটিও খ্রিস্টীয় নবম শতকে তৈরি। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ সতীশচন্দ্র মিত্র তার যশোহর-খুলনার ইতিহাস গ্রন্থে সৌধটিকে প্রতাপাদিত্যের বিজয়স্তম্ভ ও ওয়াচ টাওয়ার হিসাবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে এ এস আই তথা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের প্রাক্তন মহানির্দেশক কাশীনাথ নারায়ণ দীক্ষিতসহ অধিকাংশ প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, জটার দেউলের স্থাপত্যশৈলীর সাথে ওড়িশার দেউল স্থাপত্যের মিল আছে এবং সেদিক থেকে ও অন্যান্য আবিষ্কৃত নিদর্শন বিচার করে এর নির্মাণকাল আনুমানিক একাদশ শতাব্দী বলেই গণ্য করা হয়। [৩]
প্রতিবছর ২রা বৈশাখ (ইংরাজী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে) মন্দিরের কাছে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং ঘোডদৌড়ের আয়োজন করা হয় [৩]